সুইজারল্যান্ড প্রবাসী অনলাইন এক্টিভিস্ট অমি রহমান পিয়াল মাঝে মধ্যে হাওয়ায় গুলি ছুঁড়ে রাজনীতির মাঠ গরম করার চেষ্টা চালান। তারই অংশ হিসেবে এবার তিনি ৭ নভেম্বর তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে আপত্তিকর ইঙ্গিত দিয়েছেন। গত ৬ নভেম্বর ভারতের সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদি বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ্জামানের সঙ্গে ‘পারস্পরিক স্বার্থ’ নিয়ে কথা বলেন।
সেই ভিডিও কলের সময় ভারতীয় সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদির পেছনে ছিল ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভারতীয় বাহিনীর কাছে পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণের ছবি এবং টেবিলের সামনে ভারত ও বাংলাদেশের পতাকা। অপরদিকে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ্জামানের পেছনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা এবং সেনাবাহিনীর পতাকা।
আমি রহমান এই ছবি দুটো পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন,”ভিডিও কলে বাংলাদেশ আর ভারতের সেনাপ্রধানের পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে কথা হইছে। একজনের পিছে বাংলাদেশ আর সেনাবাহিনীর পতাকা। আর একজনের ভারত আর বাংলাদেশের। নজর কাড়ছে একজন ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরের আত্মসমর্পণের ছবি রাখছে ব্যাকগ্রাউন্ডে! এটা কি কোন বার্তা যা ওয়াকার ইউনুস ধরতারে নাই?”
পোস্ট পড়ে মনে হল; পিয়ালের গা থেকে ভারতের গন্ধ যায় নাই। তাকে একটু ইতিহাস পড়তে হবে। সেটা খুব জরুরী। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সারা জীবনের কৃতিত্ব মাত্র একটাই। সব ফ্রন্টে তারা পড়ে পড়ে মার খায়। কেবল ১৯৭১ সালে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে সাফল্য পেয়েছে। তাও আবার মাথা মোটা পাক সেনা প্রধান ইয়াহিয়া খানের গোয়ার্তুমির কারণে। ফলে ভারতীয় সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণের ছবি তাদের সেনাপ্রধানের পিছনে সাঁটানো থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আর সামনে বাংলাদেশ এবং ভারতের যে পতাকা আছে যেটার প্রতি পিয়াল ইঙ্গিত করেছেন তা কেবলই ভারত এবং শেখ হাসিনা। আর ওয়াকার উজ্জামানের পেছনে বাংলাদেশ মানে পুরো বাংলাদেশ। সেখানে দেশপ্রেমের কোন ঘাটতি নেই।
#বাংলাদেশ
#Bangladesh

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *