নাঈম উদ্দিন সানি :
নারায়ণগঞ্জে বাস ভাড়া কমানোর দাবিতে ‘যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরামে’র টানা কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহরে মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ৯ নভেম্বর চাষাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মশাল মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের আহবায়ক রফিউর রাব্বি বলেন, নারায়ণগঞ্জের পরিবহন সিন্ডিকেট যুগের পর যুগ অযৌক্তিকভাবে ভাড়া বৃদ্ধি করে নগরবাসীর জীবন দুর্বিষহ করে তোলেছে। এই পরিবর্তিত পরিস্থিতে সকল রুটের বাস ভাড়া কামাতে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ভাড়া অর্ধেক করতে হবে। আমাদের দাবির প্রতি প্রশাসন একমত পোষণ করলেও দাবি বাস্তবায়নে তাদের অনিহা লক্ষ্য করেছি।
তাই আমরা বলেছি, মাফিয়া, পরিবহন গডফাদারদের পক্ষে ইতিপূর্বে প্রশাসন অবস্থান গ্রহণ করলেও মানুষের আন্দোলন বিজয়ী হয়েছে। মফিয়াদের রক্ষা করা যায়নি। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মাফিয়াদের বিদায় হয়েছে। এখন যারা রয়েছে এরা মাফিয়াদের উচ্ছিষ্টভোগী, বাসের মালিক নামধারী চাঁদাবাজ। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। কিন্তু প্রশাসন কালক্ষেপনের মধ্য দিয়ে আমাদের দাবিগুলোকে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে।
প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মাফিয়াদের উচ্ছিষ্টভোগী বাস মালিকদের দাবি, মার্যদা রক্ষা আপনাদের দায়িত্ব নয়। সরকারের পক্ষে জনগণের দাবি রক্ষা আপনাদের দায়িত্ব। তাই বাস ভাড়া কমানোর দাবি, যেটি গণদাবিতে পরিণত হয়েছে তা মেনে নিন।
তারা আরও বলেন, আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে যদি এই দাবি মেনে না নেয়, তাহলে ১৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জবাসী অর্ধদিবস সর্বাত্মক হরতাল পালন করবে। আমরা আমাদের দাবি আদায় করে তারপর মাঠ ছাড়বো।
মশাল মিছিলে অংশ নেন খেলাঘর আসর জেলা সাবেক সভাপতি রথিন চক্রবর্তী, সিপিবি জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, ন্যাপ জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আওলাদ হোসেন, গণসংহতি আন্দোলন জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, বাসদ জেলা সদস্য সচিব আবু নাঈম খান বিপ্লব, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিমাংশু সাহা, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মাহমুদ হোসেন, যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের সদস্য সচিব ধীমান সাহা জুয়েল, সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি অ্যাড. জিয়াউল ইসলাম কাজল প্রমুখ।